নিঃস্ব অবস্থা থেকে এক বছরের মধ্যে একটি বাড়ি ও খামারের মালিক

নিজস্ব প্রতিবেদক ◑  

ইউএসএআইডি (USAID) এর অর্থায়িত ইকোফিশ-বাংলাদেশ প্রকল্প (ECOFISH-Bangladesh Project) এর উদ্যোগে এবং আইওএম (IOM) এর সহোযগিতায় টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জলদাশপাড়ায় এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে “জেলে নিবাস এর কার্যক্রম পরিদর্শিন এবং সম্পাদিত নিবাসের চাবি হস্তান্তর” অনুষ্ঠান গত ৩ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সম্পন্ন হয়েছে।

এনজিও সংস্থা ওয়াল্ডফিশ (WorldFish) এর ইকোফিশ-বাংলাদেশ প্রকল্প এর তত্বাবধানে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী এবং ওয়াল্ডফিশ ও আইওএম এর প্রতিনিধিগন। এছাড়া সকল উপকারভোগীরসহ অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গউপস্থিত ছিলেন।

এর পূর্বে ইকোফিশ প্রকল্প ও আইওএম যৌথভাবে জলদাশপাড়ার ৩৫ জন জেলের জন্য নতুন নিবাস নিশ্চিত করে। এছাড়া বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে উক্ত গ্রামের ৯৬ জন এবং টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ১১৪১ জন জেলে ইকোফিশ প্রকল্প থেকে  বিভিন্ন মেয়াদে সাহায্য গ্রহন করেছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন ইকোফিশ-বাংলাদেশ টিমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দুবছর আগে নদীতে মাছ ধরা নিষেধ হবার পর জেলেরা দিশেহারা হয়ে তার অফিস ঘেরাও করত সাহায্যের আশায়। গত এক বছরে ইকোফিশ কাজ করায় জেলেদের মুখে হাসি ফিরেছে।

এ সময় প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম এলাকাবাসীকে ইকোফিশ ও আইওএম এর যৌথ উদ্যোগ এ তৈরি করা ঘর গুলি নিজেদের মনে করে ব্যবহার করতে পরামর্শ দেন। কয়েকটি জেলে নিবাস পরিদর্শন এর পর তিনি ইকোফিশ প্রকল্পের প্রশংশা করে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাপ্ত সহযোগীতা গুলোকে “একটি বাড়ি একটি খামারের” সাথে তুলনা করেন। পরে তিনি ইউনিয়নের জেলেদের কাছে নিবাসের চাবি হস্তান্তর করেন।